মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?

মাসিক না হলে অনেকেই গর্ভধারণের সম্ভাবনা সম্পর্কে চিন্তিত হয়ে পড়েন। সাধারণভাবে মনে করা হয় যে, মাসিক মিস হলেই গর্ভধারণ হয়েছে। তবে, এটি সবসময় সত্যি হয় না। মাসিক না হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে, যার মধ্যে গর্ভধারণ একটি মাত্র।

মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?What is the possibility of having a baby if there is no period?
মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে


মাসিক না হওয়ার অন্যান্য কারণ

অনিয়মিত মাসিক: অনেক মহিলার মাসিক চক্র অনিয়মিত থাকে। এক্ষেত্রে, মাসিকের সময়সীমা কখনও কখনও দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত দেরিp হতে পারে।

জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি: জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, যেমন পিল, ইনজেকশন, কনডম ইত্যাদি ব্যবহার করলে মাসিকের সময়সীমা পরিবর্তন হতে পারে।

স্ট্রেস: মানসিক চাপের কারণেও মাসিকের সময়সীমা পরিবর্তন হতে পারে।

ওজনের পরিবর্তন: ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধির কারণেও মাসিকের সময়সীমা পরিবর্তন হতে পারে।

হরমোনজনিত সমস্যা: থাইরয়েড হরমোন, অ্যাড্রেনালিন হরমোন ইত্যাদির সমস্যার কারণেও মাসিকের সময়সীমা পরিবর্তন হতে পারে।

স্বাস্থ্য সমস্যা: নির্দিষ্ট কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও মাসিকের সময়সীমা পরিবর্তন হতে পারে। যেমন, ডিম্বাশয়ের সিস্ট, ফাইব্রয়েড, অ্যাডোনোমেটোসিস ইত্যাদি।

আরও পড়ুন: মুখের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

গর্ভধারণের লক্ষণ

গর্ভধারণের ক্ষেত্রে কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা যায়। যেমন:

  • পিরিয়ড মিস হওয়া
  • বমি বমি ভাব
  • মাথা ঘোরা
  • স্তন কোমল হওয়া
  • প্রস্রাব বেশি হওয়া
  • ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া
  • সারা শরীরে ক্লান্তি
  • গর্ভধারণ পরীক্ষা


যদি আপনার মাসিক মিস হয় এবং উপরে বর্ণিত লক্ষণগুলি দেখা যায়, তাহলে আপনি গর্ভধারণ পরীক্ষা করতে পারেন। গর্ভধারণ পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি সহজেই জানতে পারবেন যে আপনি গর্ভবতী কিনা।


FAQ: মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে?

প্রশ্ন: আমার মাসিক মিস হয়েছে, কিন্তু আমি গর্ভবতী নই কেন?


উত্তর: মাসিক মিস হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে, যার মধ্যে গর্ভধারণ একটি মাত্র। অনিয়মিত মাসিক, জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, স্ট্রেস, ওজনের পরিবর্তন, হরমোনজনিত সমস্যা এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যাও মাসিক মিস হওয়ার কারণ হতে পারে। যদি আপনি নিশ্চিত না হন যে কেন আপনার মাসিক মিস হয়েছে, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা ভালো।


প্রশ্ন: গর্ভধারণের কোন লক্ষণ থাকে?


উত্তর: গর্ভধারণের কিছু সাধারণ লক্ষণ হলো পিরিয়ড মিস হওয়া, বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা, স্তন কোমল হওয়া, প্রস্রাব বেশি হওয়া, ক্ষুধা বেড়ে যাওয়া এবং সারা শরীরে ক্লান্তি। তবে, প্রতিটি মহিলার গর্ভধারণের অভিজ্ঞতা আলাদা হতে পারে এবং এই লক্ষণগুলি সবারেরই নাও থাকতে পারে।


প্রশ্ন: আমি কিভাবে জানবো যে আমি গর্ভবতী?


উত্তর: আপনি হোম গর্ভধারণ পরীক্ষা করতে পারেন অথবা একজন ডাক্তারের নিকট গিয়ে গর্ভধারণ পরীক্ষা করাতে পারেন। হোম গর্ভধারণ পরীক্ষা সাধারণত খুবই নির্ভরযোগ্য, তবে ডাক্তারের করা পরীক্ষা সবচেয়ে নিশ্চিত ফলাফল দেবে।


প্রশ্ন: মাসিক না হলে কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত?


উত্তর: যদি আপনার মাসিক মিস হয় এবং নিম্নলিখিত লক্ষণগুলির মধ্যে কোনটি দেখা যায়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত:


  • তীব্র পেট ব্যথা
  • অস্বাভাবিক যোনি রক্তক্ষরণ
  • জ্বর
  • মাথা চালাক
  • দৃষ্টি সমস্যা

প্রশ্ন: গর্ভধারণ প্রতিরোধে আমি কি করতে পারি?


উত্তর: জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গর্ভধারণ প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায়। বিভিন্ন ধরনের জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি রয়েছে, তাই আপনার জন্য সঠিক পদ্ধতিটি বেছে নিতে একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।


আশা করি এই প্রশ্নের উত্তরগুলি আপনার জন্য সহায়ক হবে। মনে রাখবেন, আপনার কোন স্বাস্থ্যগত সমস্যা থাকলে সবসময় একজন ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।


উপসংহার

মাসিক না হলেই গর্ভধারণ হয়েছে এমনটা মনে করা ঠিক নয়। মাসিক না হওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। তাই, মাসিক না হলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হলে গর্ভধারণ পরীক্ষা করাই ভালো।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url